২০২৪ সালে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মানবপাচারের ২৩৮টি মামলা হয়েছে। এই নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ৮১১টি মানবপাচারের মামলা চলমান রয়েছে। আর এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ৯২টি, যার ৫টি মামলায় ৯ জন আসামির সাজা হয়েছে।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে যশোরে ‘মানবপাচারের শিকার ব্যক্তির সুরক্ষা ও সহায়তায় বাংলাদেশ জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থার কাঠামো’ শীর্ষক খুলনা বিভাগীয় কর্মশালায় এ তথ্য উঠে আসে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের আয়োজনে যশোর জেলা প্রশাসনের সম্মেলনকক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় রেফারেল কাঠামো বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় ইনসিডিন বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাসুদ আলী বলেন, মানব পাচারের শিকার ১০টি জেলার মানুষই আছে। কিন্তু একবছরে প্রতিটি জেলায় পাচারকারির সাজা নিশ্চিত করা যায়নি। আর মামলা ৮১১টি থাকলেও এর বেশি মানুষ মামলা করেননি সামাজিক সমস্যাসহ নানা কারণে।
কর্মশালায় ৪৯ বিজিবির অ্যাডজুট্যান্ট সোহেল আল মুজাহিদ জানান, গত বছরের নভেম্বর থেকে চলতি বছরের জানুয়ারির এ পর্যন্ত তিন মাসে ভারতে যাওয়ার সময় ৪৪ জনকে এবং আসার সময় ৪৩ জনকে আটক করে ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সময় ৮২ জনকে প্রত্যর্পণ করা হয়।
কর্মশালায় খুলনা বিভাগের কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব মু. জসীম উদ্দীন খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজাহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম চৌধুরী, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, রূপান্তর খুলনার নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহ, প্রেসক্লাব সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ বক্তব্য দেন। এ সময় খুলনা বিভাগের জেলা প্রশাসকবৃন্দ, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি ও গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/ টিএ